কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার রায়গঞ্জ ইউনিয়নের উত্তর সাপখাওয়া মাস্টারমোড় এলাকায় পাচারের সন্দেহে ৪ হাজার কেজি (৪ মেট্রিক টন) ডিএপি সার জব্দ করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় নছিমন বোঝাই সার আটক করে পুলিশ।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানায়,রায়গঞ্জ ইউনিয়নের সাপখাওয়া ও ব্যাপারীটারী এলাকার বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) অনুমোদিত সার ডিলার মোছা: হালিমা খাতুনের সাড়ের গোডাউন মেসার্স রাদিয়া ট্রেডার্স (বীজ লাইসেন্স নং–১৫১২,সার লাইসেন্স নং–৪৭৯৫) থেকে রাত ৮টার দিকে ৮০ বস্তা (প্রতি বস্তায় ৫০ কেজি) ডিএপি সার একটি নছিমনে করে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হচ্ছিল।
নছিমনটি মাস্টার মোড় বাজারের ভেতরের রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা সন্দেহজনক গতিবিধি দেখে গাড়িটি থামিয়ে চালকের কাছে সার পরিবহনের কারণ জানতে চান। কিন্তু চালক সঠিক তথ্য দিতে ব্যর্থ হলে তারা গাড়িটি আটকে রাখেন। পরে খবর পেয়ে নাগেশ্বরী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নছিমনসহ সার জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়।
স্থানীয় কৃষক আজিজুল হক ও আরিফ হোসেন অভিযোগ করে বলেন,এলাকার কৃষকরা নিয়মিত সার সংকটে ভোগেন। ডিলারের কাছে গেলে সার পাওয়া যায় না,পেলেও অতিরিক্ত দামে কিনতে হয়। অথচ রাতে গোপনে সার পাচারের চেষ্টা চলছে। এর আগেও এই ডিলার অনিয়মের কারণে ১ লাখ টাকা জরিমানা দিয়েছেন।
ঘটনাস্থলে থাকা নাগেশ্বরী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাদিম জানান, এসিল্যান্ড স্যার ও ওসি স্যারের নির্দেশে রাতেই নছিমন ও সার জব্দ করে থানায় আনা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন।
এসময় সার ডিলার হালিমা বেগম ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকলেও গণমাধ্যমের সঙ্গে কোনো মন্তব্য না করে দ্রুত সরে যান।
নাগেশ্বরী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার হোসেন বলেন,বিএডিসি ডিলার হালিমা খাতুনের প্রতিষ্ঠানের গোডাউন থেকে ৮০ বস্তা ডিএপি সার স্থানীয় খুচরা ব্যবসায়ী সামাদের কাছে যাচ্ছিল। পথে জনতা আটক করেছে। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”