কুড়িগ্রামে রাষ্ট্রীয় খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত তারামন বিবি বীর প্রতীক এর ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে কুড়িগ্রাম জেলা সদরে তার নিজ বাসভবনে ১ ডিসেম্বর’ ২০২৫ইং সোমবার বাদ যোহর মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের অমূল্য আকর সদ্য প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা তারামন বিবি বীর প্রতীক এর ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নের আরাজী পলাশবাড়ী এলাকায় প্রয়াত তারামন বিবির নিজ বাসভবনে ১ ডিসেম্বর’ ২০২৫ইং সোমবার বাদ যোহর মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত তারামন বিবির আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে দোয়া পরিচালনা করেন- আরাজী পলাশবাড়ী দারুস সালাম জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওঃ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ। প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা তারামন বিবি বীর প্রতীক এর ধর্মত ভাই মোঃ হাছেন আলীর উদ্যোগে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন- আরাজী পলাশবাড়ী দারুস সালাম জামে মসজিদের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুস ছোবহান, মুয়াজ্জিন মোঃ ইব্রাহিম খলিল, সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ মকবুল হোসেন, ফারুক আহমেদ, আব্দুস সালাম ও স্থানীয় সুধী সমাজের ব্যক্তিবর্গ।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের দুইজন বীর প্রতীক খেতাব প্রাপ্ত নারী মুক্তিযোদ্ধার একজন কুড়িগ্রামের তারামন বিবি। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি কুড়িগ্রাম জেলায় নিজ গ্রাম শংকর মাধবপুরে ছিলেন। তিনি ১১ নং সেক্টরে যুদ্ধ করেছেন যার সেক্টর কমান্ডার ছিলেন আবু তাহের বীর উত্তম। ১৯৭৩ সালে তৎকালীন সরকার মুক্তিযুদ্ধে তারামন বিবির সাহসীকতা ও বীরত্ব পূর্ণ অবদানের জন্য তাঁকে “বীর প্রতীক” উপাধিতে ভূষিত করেন। কিন্তু এরপর ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত তাঁকে খুঁজে বের করা সম্ভব হয়নি। ১৯৯৫ সালে গবেষক বিমল কান্তি দে ও অধ্যাপক আবদুস সবুর ফারুকীর প্রচেষ্টায় অবশেষে তাঁকে খুঁজে পাওয়া যায়। অবশেষে ১৯৯৫ সালের ১৯শে ডিসেম্বর এক অনাড়ম্বর পরিবেশে আনুষ্ঠানিক ভাবে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া রাষ্ট্রীয় সম্মানসহ তাঁর হাতে “বীরপ্রতীক” পদক তুলে দেন। তারামন বিবি প্রমাণ করেছেন দেশের প্রয়োজনে নারী কেবল ঘর নয়, যুদ্ধক্ষেত্রও সামলাতে পারে, অস্ত্রও চালাতে পারে, রাষ্ট্রও রক্ষা করতে পারে।